মসলার দামে নাকাল ক্রেতা, কাটছে না সংকট

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: কোরবানির ঈদ ঘিরে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, জিরা, হলুদ, মরিচ, দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, জয়ত্রিসহ মসলাজাতীয় সব পণ্যের চাহিদা তুঙ্গে। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দামও। কয়েকটি মসলার দাম বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। বাজারে এসব পণ্য কিনতে অস্বস্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ।

ডলার, এলসি সংকটের পাশাপাশি পাইকারি ব্যবসায়ীদের রয়েছে সিন্ডিকেট। খুচরায় লাগামহীন দাম রাখলেও বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় ভুগতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ও খোলা বাজারের তথ্য বলছে, অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে আদার দাম। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এখন বিক্রি হচ্ছে তিনগুণের বেশি দামে। গত বছরের এই সময়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে থাকা আদা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়।

একই ভাবে গত বছর যেখানে পেঁয়াজের দাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ছিল, তা এখন ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে রসুনের দামও, গত বছরের ৬০ থেকে ৯০ টাকার দেশি রসুন এখন ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় উঠেছে। এছাড়া বাজারে শুকনা মরিচ ও জিরার দাম হয়েছে দ্বিগুণ। তেজপাতা, হলুদ, গোলমরিচ, দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, জয়ত্রির দাম বেড়েছে পাঁচ থেকে ২৫ শতাংশ।

যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদ সামনে রেখে প্রচুর মসলা এসেছে দেশে। পাশাপাশি মসলা উৎপাদন বাড়াতে সরকারের উদ্যোগ রয়েছে। তারপরও প্রায় অর্ধেক মসলা আমদানি করতে হচ্ছে প্রতি বছর। সেজন্য এ খাতে দেশ থেকে বিদেশে চলে যাচ্ছে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। তারপরেও ক্রেতার স্বস্তি মিলছে না এসব কিনতে গিয়ে।

পেঁয়াজে স্বস্তি ফিরবে ঈদের আগে?
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত দুই বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টনেরও বেশি। এবছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। উৎপাদনের পরে উপযুক্ত সংরক্ষণের অভাবে বা প্রতিকূল পরিবেশের কারণে ৩০-৩৫ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়।

দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৬ থেকে ২৮ লাখ টন। হিসাব করলে দেশের পেঁয়াজ দিয়ে চাহিদার প্রায় কাছাকাছি জোগান দেওয়া সম্ভব। কিস্তু বাস্তবতা হলো, সব সময় আমাদের পেঁয়াজের জন্যও নির্ভর করতে হতো ভারতের ওপর। গত কয়েকমাস পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ থাকায় বাজারে পণ্যটির দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এরপর বাধ্য হয়ে পণ্যটি আমদানির বিধিনিষেধ তুলে নেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। এখন দাম কিছুটা কমে এসেছে। অর্থাৎ, উৎপাদন বাড়ার কথা বলা হলেও পেঁয়াজের ক্ষেত্রে ভারতনির্ভরতা কাটেনি।

এসব বিষয়ে পুরান ঢাকার শ্যামবাজারকেন্দ্রিক মসলাজাতীয় পণ্যের আমদানিকারক ও পাইকারি বিক্রেতা আবদুল মাজেদ বলেন, সরকার যে উৎপাদনের তথ্য দিচ্ছে সেটা ঠিক নয়। চাহিদার তথ্যেও গরমিল রয়েছে। দেশে এখনো ৮ থেকে ১০ লাখ টন পেঁয়াজের ঘাটতি থাকে, যা আমদানির বিকল্প নেই।

খুচরায় সাধারণ মানুষ ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে পেঁয়াজ কিনে অভ্যস্ত। ঈদের আগে এমন দামে পেঁয়াজ মিলবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে এ ব্যবসায়ী বলেন, কোনো উপলক্ষ এলেই খুচরা ও পাইকারি বাজারের মধ্যে দামের বড় ফারাক হয়। আমরা পাইকারি যে দামে বিক্রি করি, তার চেয়ে অনেক বেশি দামে খুচরা বিক্রেতারা বিক্রি করেন সুযোগ পেলেই। সেটা বাজার ব্যবস্থার দুর্বলতা। সেজন্য দাম আর খুব একটা কমার সম্ভাবনা কম।

আদা-রসুনের উৎপাদন ও চাহিদায় বিস্তর ফারাক
দেশে গত এক দশকের ব্যবধানে আদার চাহিদা পাঁচগুণ, রসুনের তিনগুণ বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। বিপরীতে আদার উৎপাদন থেমে আছে প্রায় এক জায়গায়। রসুনের উৎপাদন কিছুটা বাড়লেও সেটা চাহিদার তুলনায় কম। এতে বাড়ছে আদা-রসুনের আমদানিনির্ভরতা।

ট্যারিফ কমিশনের সবশেষ তথ্য বলছে, দেশে বছরে তিন লাখ টন আদা ও ছয় লাখ টন রসুনের চাহিদা রয়েছে। এ হিসাব কিছুটা পুরোনো।

ব্যবসায়ীদের দাবি, বর্তমানে দেশে আদার চাহিদা সাড়ে চার লাখ টন এবং রসুনের চাহিদা প্রায় ৯ লাখ টন, যা এক দশক আগের তুলনায় যথাক্রমে পাঁচ ও তিনগুণ ছাড়িয়েছে।

অন্যদিকে পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব বলছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত দেশে আদার উৎপাদন থমকে রয়েছে। এই এক দশক ধরে উৎপাদন মাত্র ৮০ হাজার টনের সামান্য এদিক-সেদিক করছে মসলাটি। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশে ৭৭ হাজার টন আদা উৎপাদন হয়, যা ২০১৯-২০ এ এসে সর্বোচ্চ ৮৪ হাজার টনে উঠেছিল। ২০২১-২২-এ কমে আবার ৮২ হাজার টনে নেমেছে।

একই অবস্থা রসুনেরও। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশে সাড়ে তিন লাখ টন রসুন উৎপাদন হয়। এক দশক বাদে এখন উৎপাদন ঠেকেছে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার টনে। ঠিক একই সময়ের ব্যবধানে চাহিদা বেড়েছে তিনগুণের বেশি।

কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উন্নত জাতের অভাব, দীর্ঘমেয়াদি জীবনকাল ও উঁচু জমির ফসল বলে এ দুই ফসলে খুব বেশি আগ্রহী নয় চাষিরা। আবার উৎপাদন খরচের চেয়ে মসলার বাজারদর কম হওয়াও বড় কারণ।

অন্যদিকে, যে পরিমাণ অর্থ আদা-রসুন আমদানিতে ব্যয় হচ্ছে এর ৫০ ভাগের এক ভাগ কৃষককে ভর্তুকি সহায়তা দিলে বর্তমান উৎপাদন তিন থেকে চারগুণ বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন কৃষি অর্থনীতিবিদ জাহাঙ্গীর আলম খান। তিনি বলেন, অনাগ্রহের ফসলগুলো প্রয়োজনীয় হয়ে উঠলে সেগুলো চাষের জন্য কৃষককে আগ্রহী করতে হবে, তাদের বাজারদর নিশ্চিত করতে হবে, আমদানির ব্যয় বিবেচনায় প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে।

অন্য মসলার কী অবস্থা
শুধু দেশে নয়, মসলার অভ্যন্তরীণ চাহিদার পাশাপাশি বৈশ্বিক চাহিদাও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। চাহিদার কারণে বাজারমূল্য অন্য ফসলের তুলনায় বেশি। দেশে প্রায় ৫০ ধরনের মসলা ব্যবহার করা হলেও মাত্র সাত ধরনের মসলাজাতীয় ফসল উৎপাদিত হয়। ফলে অভ্যন্তরীণ চাহিদার অধিকাংশই আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়।

বাংলাদেশ মসলা গবেষণা কেন্দ্র এ পর্যন্ত ২২টি মসলাজাতীয় ফসলের ৪৭টি জাত উদ্ভাবন করেছে। এছাড়া, মৃত্তিকা ও পানি ব্যবস্থাপনা, পোকামাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনা, পোস্ট-হারভেস্ট প্রযুক্তিসহ ৬৬টি উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে। তবে এসব জাত ও প্রযুক্তি মাঠে প্রয়োগের ক্ষেত্রে রয়েছে দুর্বলতা।

সব মিলে দেশে মসলার বাজার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার। দীর্ঘদিন এসব মসলার চাহিদার বেশিরভাগ পূরণ করা হতো আমদানির মাধ্যমে। বেশ কিছু জাতের দামি মসলা এখনো বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। আবার অবৈধ পথেও ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসছে বিভিন্ন ধরনের মসলা। এক্ষেত্রে আমদানির ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমানোর সুযোগ থাকলেও বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা।

এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলাই কৃষ্ণ হাজরা বলেন, সব ধরনের মসলার উৎপাদন বাড়াতে সরকার আন্তরিক। একাধিক প্রকল্প চলছে। মসলার জাত সম্প্রসারণে গবেষণা পর্যায়েও আরেকটি প্রকল্প রয়েছে। আমরা এরই মধ্যে রোডম্যাপের মাধ্যমে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়িয়েছি। আদা-রসুনসহ অন্য ফসলের বিষয়েও আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।

বাজারে রয়েছে সিন্ডিকেট
উৎপাদন ও চাহিদার এ ফারাকের সুযোগে মসলার বাজারে বড় সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। দাম বাড়ার পরে বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রায়ই চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও রাজধানীর শ্যামবাজার মৌলভীবাজারের আড়তগুলোতে অভিযান চালানো হয়। সে সময় দেখা যায় বিভিন্ন অনিয়ম।

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, মসলা ব্যবসায়ীরা মূল্যতালিকা ঝোলান না। কোথা থেকে কত দামে মসলা আমদানি করে এনেছেন তারও প্রমাণ রাখেন না। পাকা রসিদ থাকে না তাদের কাছে। দাম বাড়ালে খুচরা ক্রেতা বা বিক্রেতাদেরও রসিদ দেন না। ইচ্ছামতো দাম নির্ধারণ করেন।

তিনি বলেন, চাহিদা বাড়লেই মসলার ক্ষেত্রে বাজারে একটা অস্থিরতা তৈরি করা হচ্ছে। দাম বেড়ে যাচ্ছে। কোরবানি ঈদ টার্গেট করে এটা করা হচ্ছে বলে আমাদের ধারণা। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টও তাই বলছে।

মসলার বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন এমন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, মসলার বাজার খুব মনোপলি। বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন গুটিকয়েক ব্যবসায়ী। তাদের ইশারাতেই এখন দাম বাড়ে কিংবা কমে। তারা নিজেই আমদানি করছে, আবার বিক্রি করছে।

বছরে আমদানি ব্যয় ৯০০ কোটি টাকা
দেশে তিনটি সমুদ্রবন্দর থাকলেও চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় মসলা। তিন শতাধিক আমদানিকারক প্রতি বছর প্রায় ৯০০ কোটি টাকার মসলা আনছেন দেশে। টেকনাফ, বেনাপোলসহ কয়েকটি স্থলবন্দর দিয়েও আসছে মসলাজাতীয় পণ্য। দেশে প্রতি বছর শতকোটি টাকার রসুন আসে। এগুলো আমদানি করে ৭০ থেকে ৮০টি প্রতিষ্ঠান। ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকার এলাচ আসে প্রতি বছর। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আসে ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার। তবে আমদানি বহাল থাকলে স্থলবন্দর দিয়ে আসে ২০০ কোটি টাকারও বেশি পেঁয়াজ। দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, মরিচ, জয়ত্রিসহ সব ধরনের মসলা মিলে আমদানি ছাড়িয়ে যায় ৯০০ কোটি টাকার ঘর।

জিরা, দারুচিনি, এলাচ পুরোটা আমদানি
মসলার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে জিরা ও দারুচিনি। এছাড়া এলাচ, গোলমরিচ, জয়ত্রির মতো মসলাগুলো পুরোপুরি আমদানিনির্ভর।

গত রোজার ঈদের পর থেকে জিরার দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। ৪০০ টাকার মধ্যে থাকা জিরা এখন ৯০০ টাকায় ঠেকেছে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজি এনায়েত উল্লাহ বলেন, ডলারের দাম বাড়ায় মসলার দাম বেড়েছে। এছাড়া মসলাজাতীয় পণ্য আমদানি করতে গিয়ে এখন নানা রকম জটিলতায় পড়তে হচ্ছে। এলসি জটিলতা প্রকট।

তিনি বলেন, সরকার সব মিলিয়ে ৬৩ শতাংশ শুল্ক আদায় করে মসলা আমদানিতে। আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে অনুরোধ করেছি শুল্ক কমানোর জন্য, কোনো সুরাহা হয়নি। তাই মসলার দাম কমছে না।

মসলা চাষ বাড়াতে প্রকল্প
চাষাবাদ বাড়াতে ‘মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প শুরু হয়েছে গত বছর। মসলার আমদানিনির্ভরতা কমাতে ১১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দুই লাখ ৩৬ হাজার মেট্রিক টন মসলা উৎপাদন বাড়বে। ফলে মসলার আমদানিনির্ভরতা কমবে।

জানা যায়, মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পটি জুলাই ২০২২ থেকে জুন ২০২৭ মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে। দেশের ১১০টি উপজেলা ও ২৫টি হর্টিকালচার সেন্টারে এটা বাস্তবায়ন করা হবে। আধুনিক-টেকসই প্রযুক্তি ও উৎপাদন ব্যবস্থাপনা সম্প্রসারণের মাধ্যমে মসলাজাতীয় ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণ, মসলা ফসল সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে উৎপাদনোত্তর অপচয় হ্রাস এবং শস্য নিবিড়তা বাড়ানো হবে দুই থেকে পাঁচ শতাংশ।

প্রকল্প পরিচালক রাসেল আহমেদ বলেন, প্রকল্পটি প্রাথমিক পর্যায়ে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে মসলার আবাদ পাঁচ শতাংশ বাড়বে। পাশাপাশি মসলা উৎপাদন বাড়বে দুই লাখ ৩৬ হাজার মেট্রিক টন। মানুষের মসলার ক্যালরির চাহিদা পূরণ হবে। কমবে আমদানিনির্ভরতা।

দেশে আদা-রসুনের উৎপাদন অন্য ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির তুলনায় এত শ্লথ কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে রাসেল আহমেদ বলেন, সময় বেশি লাগা, অন্য ফসলের তুলনায় কম লাভজনক ও উন্নত জাত না থাকায় এসব মসলায় আগ্রহ কম। সে কারণে আমরা সাথী ফসল হিসেবে আম ও লিচু বাগানে আদা সম্প্রসারণের চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, এ বছর বারি আদা ২, যার উৎপাদন হেক্টরপ্রতি ৩৫ টন। এ জাত বিস্তার করছি। পরবর্তী বছরের জন্য বীজ সংরক্ষণ করছি। এছাড়া ছাদ ও পরিবার বাগানে বস্তায় (জিও ব্যাগ) আদা চাষের ব্যবস্থা করছি। ছাদ বাগানে আটটি বস্তায় ১৪ কেজি আদা উৎপাদন সম্ভব, যা একটি পরিবারের সারা বছর খাওয়ার জন্য প্রায় যথেষ্ট।

সৌজন্যে, জাগো নিউজ।